তোমাকে প্রতিদিন লেখার মতো
অনেক রকম খবর আছে
Category: প্রেমিক
কতোখানি ডাক শুনে ছুটে যায় এই মুগ্ধ মানুষ
অভ্যন্তরে কতোখানি উৎসবে সব পথ ভেঙে একখানা পথ
শুধু একখানা ঘর জেগে ওঠে মর্মের মর্মস্থলে
উচিত ছিলো তোমার বাড়ি এক্কেবারে
আমার বাড়ির পাশেই হওয়া । জানলা খুলে
চোখ দুটোকে মেলে দিলেই দেখতে পাবো
টুকিটাকি জিনিশপত্র শোবার ঘরে
অলস চুলে বোলাচ্ছ সেই স্নিগ্ধ লাজুক
আঙুলগুলো । উচিত ছিলো জানলা খুললে
তোমার আমার দেখতে পাওয়া সারাটি ক্ষন ।
বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এইতো জীবন,
এইতো মাধুরী, এইতো অধর ছুঁয়েছে সুখের সুতনু সুনীল রাত!
তুমি জানো নাই__আমি তো জানি।
মাটি খুঁড়ে কারা শস্য তুলেছে,
মাংশের ঘরে আগুন পুষেছে,
যারা কোনোদিন আকাশ চায়নি নীলিমা চেয়েছে শুধু,
করতলে তারা ধ’রে আছে আজ বিশ্বাসী হাতিয়ার।
দু’একটি বিষণ্ণ ঝিঁঝিঁ ছাড়া আর কোনো গান নেই,
শব্দ নেই, জীবনের শিল্প নেই, নেই কোনো প্রাণের সঞ্চার।
এ শহর অন্ধ করে তুমি চলে যাচ্ছো অন্য এক দূরের নগরে,
আমি সেই নগরীর কাল্পনিক কিছু আলো চোখে মেখে নিয়ে
তোমার গন্তব্যের দিকে, নীলিমায় তাকিয়ে রয়েছি।
রাত্রিভর স্বপ্ন দেখে
ভোরসকালে ক্লান্ত।
যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা,
সে যদি তা জানতো!
তুমি চলে যাচ্ছো, ল্যাম্পপোস্ট থেকে খসে পড়ছে বাল্ব,
সমস্ত শহর জুড়ে নেমে আসছে মাটির নিচের গাঢ় তমাল তমসা।
যেন কোনো বিজ্ঞ-জাদুকর কালো স্কার্ফ দিয়ে এ শহর দিয়েছে মুড়িয়ে
পাগলী আমার ঘুমিয়ে পড়েছে মুঠোফোন তাই শান্ত,
আমি রাত জেগে দিচ্ছি পাহারা মুঠোফোনের এই প্রান্ত,
এ কথা যদি সে জানতো…
আমরা হেঁটেছি যারা নির্জন খড়ের মাঠে পউষ সন্ধ্যায়,
দেখেছি মাঠের পারে নরম নদীর নারী ছড়াতেছে ফুল
কুয়াশার কবেকার পাড়াগার মেয়েদের মতো যেন হায়
তারা সব আমরা দেখেছি যারা অন্ধকারে আকন্দ ধুন্দুল
জোনাকিতে ভরে, গেছে; যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে
আমরা দেখেছি যারা বুনো হাঁস শিকারীর গুলির আঘাত
এড়ায়ে উড়িয়া যায় দিগন্তের নম্্র নীল জোছনার ভিতরে,
আমরা রেখেছি যারা ভালোবেসে ধানের গুচ্ছের পরে হাত,
সন্ধ্যার কাকের মতো আকাঙক্ষায় আমরা ফিরেছি যারা ঘরে;
শিশুর মুখের গন্ধ, ঘাস, রোদ, মাছরাঙা, নক্ষত্র, আকাশ
আমরা পেয়েছি যারা ঘুরে — ফিরে ইহাদের চিহ্ন বারোমাস
সুরঞ্জনা,
তোমার হৃদয় আজ ঘাস :
বাতাসের ওপারে বাতাস –
আকাশের ওপারে আকাশ।
আসবে ঝড়ি, নাচবে তুফান টুটবে সকল বন্ধন
কাপবে কুটির সেদিন ত্রাসে, জাগবে বুকেক্রন্দন
টুটবে যবে বন্ধন,
পড়বে মনে নেই সে সাথে
বাধতে বুকে দুঃখ রাতে-
আপনি গালে যাচবে চুমা
চাইবে আদর মাগবে ছোওয়া
আপনি যেচে চুমবে
বুঝবে সেদিন বুঝবে।
সহজে যদিও ভালোবেসে ফেলি
সহজে থাকি না কাছে,
পাছে বাঁধা পড়ে যাই।
বিস্মিত তুমি যতোবার টানো বন্ধন-সুতো ধ’রে,
আমি শুধু যাই দূরে।
উচিত ছিলো । উচিত ছিলো রাত্রিবেলা
হাসনুহানার শাড়ির মতো তোমার চুলের
গন্ধচূর্ন আবেশ আবেশ ভেসে আসা,
উচিত ছিলো তোমার গাওয়া আনমনা গান
অসংলগ্ন একটু আধটু শুনতে পাওয়া
সম্পূর্ন অলক্ষিতে । উচিত ছিলো তোমার বাড়ি
এক্কেবারে আমার বাড়ির পাশেই হওয়া ।
তোমার দুচোখে এক অস্পষ্ট স্বপ্নের ছায়া,
তুমি ভেসে যাও,
ভেসে ভেসে চিনে নাও
দূরবর্তী কূলের ঠিকানা,
অথবা নিজের মুখ দ্যাখো তুমি নিসর্গে, নির্জন আয়নায়
তুমি সমুদ্রের চেয়েও সমুদ্র,
আকাশের চেয়েও আকাশ,
তুমি আমার ভেতরে জেগে আছো
তোমাকে ভুলতে চেয়ে তাই,আরো বেশী ভালবেসে ফেলি,,
তোমাকে ঠেলতে গিয়ে দূরে আরো কাছে টেনে নেই
যদি জানি একবার দেখা পাবো
তাহলে উত্তপ্ত মরুভূমি অনায়াসে হেঁটে পাড়ি দেবো,
কাঁটাতার ডিঙাবো সহজে,
লোকলজ্জা ঝেড়ে মুছে
ফেলে যাবো যে কোনো সভায়
কিংবা পার্কে ও মেলায়
আমার ঈশ্বর জানেন- আমার মৃত্যু হবে তোমার জন্য।
তারপর অনেকদিন পর একদিন তুমিও জানবে,
আমি জন্মেছিলাম তোমার জন্য। শুধু তোমার জন্য
তুমি লহ নাই ভালোবাসিবার দায়,
দু’হাতে শুধুই কুড়িয়েছো ঝরা ফুল ।
কৃষ্ণচূড়ার তলে,আমি বসে একা
বুনিয়াছি প্রেম ঘৃণা বুনিবার ছলে ।
একটা সারাদিন কিছুই করবনা আমরা,
না কিছুই না।
হয়তো সারাটাদিন আমরা পাশাপাশি
বসে থাকব,অনন্তকালের মতো ।